blogger widgets

Monday 24 February 2014

অনু গল্প-১: গর্বিত পিতা

মিসেস রহমান দুপুরের রান্না চড়িয়েছেন। চুলায় তরকারীর কড়ই। বলক দিচ্ছে। এমন সময় দরজা খোলার শব্দ হলো। তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে বাড়ী ফিরে এসেছে। কিছুটা ক্লান্ত ভঙ্গিতে হেঁটে সে তার রুমের দিকে গেলো। তার ছেলেটা এত চুপচাপ নয়। চেহারাটা তার যেমন নজর কাড়া মনটাও সরল। স্কুলে যা হয় সব বাবা-মা কে খুলে বলে। মিসেস রহমান ছেলের রুমে গেলেন। ছেলে গোসল খানায় ঢুকেছে। বেশ সময় নিয়ে সে গোসল করল। বেরোনোর পর তিনি ছেলেকে ধরলেন। ছেলে কিছুই বলে না। অনেক পীড়াপীড়ির পর ছেলে মুখ খুলল, “আজ আমি আমার স্কুলের ইংলিশ শিক্ষকের সাথে সেক্স করেছি”। কি বলে ছেলে। এই বয়সেই সেক্স করা শুরু করেছে ছেলে। তিনি মুখ ভার করে বেরিয়ে গেলেন।



সন্ধ্যায় মি. রহমান অফিস থেকে বাসায় ফিরলেন। স্ত্রী তার কাছে একসময় অনুযোগ করে বললেন, দ্যাখো তোমার ছেলের কান্ড, এই বয়সে সে ইংলিশ টিচারের সাথে সেক্স করে বাসায় আসছে। তুমি ছেলেকে আচ্ছা করে শাসন করে দাও। রহমান সাহেব হু বলে ছেলের রুমের দিকে পা বাড়ালেন। মি. রহমান শুভ্র প্রগতিশীল আধুনিক যুগের মানুষ। সেক্সটাকে ইনি সহজভাবেই নেন। নর-নারী যে সেক্স করবে এটাই তো স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে যত আইন-নিয়ম-শাস্ত্র তৈরী করা হবে তত মানুষের মাঝে আইন ভাঙার প্রবনতা তৈরী হবে


বাবাকে দেখে ছেলে কিছুটা লজ্জা পেলো। রহমান সাহেব ছেলের পিঠ চাপড়ে দিলেন। সাব্বাশ! বাপের বেটা। আজ থেকে তুমি আর বালক নও, তুমি একজন পুরুষ হয়ে গেছো। আমি অনেক আনন্দিত। এই খুশীতে আমি আগামীকাল তোমাকে একটা বাই সাইকেল গিফট করব। ছেলে বাবার কথায় সাহস ফিরে পেয়ে বলল, “বাবা, তুমি আমাকে একটা ফুটবল কিনে দাও। পাছার ব্যাথায় আমি তো সাইকেল চালাতে পারবোনা।”  রহমান শুভ্র কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। 

রিলেটেড পোস্ট :



0 comments:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

 
^ মাথায় ওঠ