blogger widgets

Thursday 27 February 2014

Sagun

ফিলিপাইনের তাতালান গ্রাম। সমুদ্র তীরবর্তী এই গ্রামটির অধিকাংশ যুবক টুরিস্টদের জন্য নৌকা চালায়। হাড়ভাঙা পরিশ্রম। উত্তাল সমুদ্রের সাথে যুদ্ধে তারা তারা ঢেউকে পরাজিত করতে পারে কিন্তু জীবনের যাঁতাকল থেকে অর্থের অভাবকে দূর করতে পারে না। অর্থের অভাবে পড়ে অনেক যুবকই টুরিস্টদের সাথে যৌন মিলনে রাজি হয়। আমরা যেটাকে সহজ ভাষার বলি পতিতাবৃত্তি। জীবনের এই অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হয় বোট চালক হিসেবে নতুন আসা এক যুবক। নাম আলফ্রেড। আলফ্রেডের কাহিনিই হলো সাগুন। আলফ্রেড নিজেকে গর্বিত মনে করে কারন আজ পর্যন্ত নিজের আর্থিক দৈন্যতায় তাকে কোন টুরিস্টের সাথে তার অন্যান্য বন্ধু এবং সহকর্মী যুবকদের মত কোন অনৈতিক যৌন মিলনে মিলিত হতে হয়নি। কিন্তু একসময় চতুর্দিকের চাপ তাকে সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে দেয় এই ব্যাপারে।

তার মহাজন, সহকর্মী এবং বন্ধু ঈমান ও তাকে এই যৌন ব্যবসার মুনাফা বুঝাতে উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু যতই সময় যায় আলফ্রেড এই ব্যাপারটাতে আরো বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকে। আলফ্রেডের জুয়াখোর বাবার জুয়ার টাকা তাকেই যোগান দিতে হয়। ফেরী করে যা উপার্জন তা দিয়ে তো সংসার চালানোই মুশকিল। তার উপর তার গার্লফ্রেন্ড মুখিয়ে আছে তার সাথে এক মিলিত হবে এই আশায়
কিন্তু আলফ্রেড সবদিকে তালমিলিয়ে চলতে পারছেনা।  এভাবে তো আর জীবন নৌকা মাঝ নদীতে রেখে জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না, জীবনে সামনে এগুতে হলে তরী পাড়ে ভিড়ানো দরকারআলফ্রেডকেও তাই করতে হবে। তার আশেপাশে যেই সহকর্মী বন্ধুরা আছে তাদের যৌণ ব্যবসার মজা এবং কাঁচা টাকা তাকে ক্রমশই এই ব্যাপারে ভাবাতুর করে ফেলে। 



একসময় যৌনতায় অনভিজ্ঞ আলফ্রেড তার গার্লফ্রেন্ডের চাহিদায় সাড়া দিলেও একই সময়ে ঈমানের জন্য তার যেই সমকামী অনুভূতি সেটাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। তার মাথার ভিতরে সেক্স সম্বন্ধে পুরনো এক ভয়ংকর হত্যার কাহিনীইকি আলফ্রেডকে তার সেক্সুয়ালিটি সম্বন্ধে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে বাধ্য করছে নাকি তার নিজের ভিতরের নিজেকে সে এখনো বুঝে উঠতে পারছেনা?
 

মুভিটি পরিচালনা করেছেন- মন্টি পারুনগো
প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে- রায়ান দুনগো (আলফ্রেড) এবং ডেনিস টুরোস (ঈমান)
মুভিটি মুক্তির সাল- ২০০৯
মুভিটির দৈর্ঘ্য- ১০১ মিনিট
আই.এম.ডি.বি তে রেটিং- ৫.৯/১০

রিলেটেড পোস্ট :



0 comments:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

 
^ মাথায় ওঠ