blogger widgets

Monday 3 March 2014

ময়ূরপঙ্খী নাউঃ চতুর্থ পর্ব

বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেল, আর মনটাও কেমন যেন করছিল। তাই আর ফোন দেয়া হলো না আউয়ালের দেয়া নাম্বারটায়। তবে মনের উপর খুব যে একটা ভরসা আমার নেই সেটা জানা ছিল, তাই বাসায় এসেই মোবাইলে সেভ করে নিলাম তুষারের নাম্বারটা। 
পরদিন বিকেলের দিকে ফোন দিলাম।
- হ্যালো...
- হ্যালো, কে বলছেন?
- এটা কি তুষারের নাম্বার? আউয়াল আমাকে আপনার নাম্বারটা দিয়েছে।
- রং নাম্বার।
মুখের উপর ফোনটা কেটে দিল। অবাক, খুশি দুটাই হলাম। অবাক হলাম এটা ভেবে যে ছেলেটা নিজের নাম্বার আউয়ালকে দিয়েও কেন আমাকে না চেনার ভান করছে? আর খুশি হলাম এটা ভেবে যে ছেলেটা হয়তো আউয়ালকে নাম্বারটা দেয়ার পর থেকে রীতিমত বিভিন্ন মানুষের ফোন পেয়ে পেয়ে অতিষ্ট, তাই সবাইকে এভয়েড করছে। 
রাত ১১ টায় তুষারের নাম্বার থেকে মিসড কল এলো। কল ব্যাক করলাম। 
- কি? এবার চিনতে পেরেছেন?
- হুম। 
- আউয়ালের সাথে কথা হয়েছে?
- জ্বি।
- ভালো আছেন?
- জ্বি।
- এভাবে হু হা আর জ্বি জ্বি করলে কিভাবে হবে? 
- তাহলে কি বলবো?
- আপনার কথা বলেন, শুনি
- আমার কোন কথা নাই। দেখা করবেন?

এভাবে সরাসরি যে তুষার নামের ছদ্মনামি মানুষটা দেখা করার কথা বলবে, সেটা ভাবিনি। দেখা করতে চাইলাম। তুষার তার মেসের ঠিকানা দিল। যেয়ে যে মানুষটাকে দেখলাম তাকে দেখে আমার যৌনক্ষুধা নিমিষেই ক্ষুধামন্দায় পরিণত হলো। ছোটখাট, মোটাসোটা একটা ছেলে। যেভাবে আমাকে রুমে ঢুকিয়ে এক ঝটকায় নিজের লুঙ্গির গিঁটটা খুলে ফেলল, আমি রীতিমত ভয়ই পেয়ে গেলাম। এরপর নিজের উলঙ্গ দেহটা নিয়ে আমার পাশে এসে বসল তুষার (যার আসল নামটা আমি আজো জানিনা।) বসেই আমার বিশেষ জায়গায় হাত দিয়ে দিল। আমি রীতিমত অপ্রস্তুত ছিলাম, ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। হঠাত বুঝতে পারলাম তুষার আমার প্যান্টের বেল্ট আর চেন খুলে ফেলেছে। তুষারের হাত ততক্ষনে আমার আন্ডারওয়্যার খুলতে ব্যস্ত। আমি খপ করে ওর হাতটা ধরে ফেললাম। কিন্তু তুষার ততক্ষনে তার কার্যসিদ্ধি করে ফেলেছে অনেকখানি। আমি পুরোপুরি উত্তেজিত। অনেক ইচ্ছা সত্ত্বেও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। ক্ষুধার্ত ছিলাম, সেটাও একটা কারন হতে পারে। যা হবার হলো। তুষারের হয়তো আমাকে ভালো লেগেছে, কিভাবে বুঝলাম? আমার থেকে কোন টাকা নিলো না সে। টাকা চাইলেও অবশ্য আমি না করতাম না। চলে এলাম তুষারের মেস থেকে, কিন্তু প্রচন্ড একটা বিরক্তি কাজ করছিলো আমার মাঝে। এই প্রথম কারো সাথে প্রেমহীন কামে লিপ্ত হলাম। খুব রাগ লাগছিল নিজের উপর, কেন যে আসলাম? কিন্তু শারীরিক একটা প্রশান্তিও পাচ্ছিলাম ভেতরে ভেতরে। এ যেন এক মিশ্র অনুভূতি, তোকে বলে বোঝাতে পারবো না। 

এর কিছুদিন পর আবার রমনায় গেলাম, উদ্দেশ্য আউয়ালের সাথে দেখা করা। দেখা পেয়েও গেলাম তার। আমাকে দেখেই যুদ্ধ জয়ের হাসি দিয়ে এগিয়ে এলো আমার কাছে।
- কি? কেমুন মজা পাইলেন?
- মজা তো মনে হয় আমার চেয়ে তুমিই পেয়েছো বেশি।
- হা হা হা!
- হাসছো যে?
- আফনেরে বোকা বানাইতাম ফারছি, হেল্লাইগা হাসতাছি।
- হুম ভালো।
- আহেন বইসা কতা কই।
- হুম চলো। কথা বলতেই তো এলাম।
- আফনের লগে কতা কইলে খুব ভালা লাগে। আফনে অনেক বালা মানুষ।
আউয়ালের সাথে বসে পড়লাম একটা বেঞ্চে। 
- আউয়াল, তোমার খারাপ লাগে না এসব করতে?
- আগে লাগতো, অহন আর লাগে না।
- কেন?
- প্যাটের দায় যে কি জিনিস আফনেরা বড়লোকরা হেইডা বুজবেন না বাইজান।
- তোমার বাবা নেই? কিছু করে না?
- বাপ মরছে অনেক আগেই। মায়ে ঝিয়ের কাম করে। বড় বইন্ডার বিয়া দিছিলাম এক হিরুইঞ্চির লগে, হেই হালার পুত আমার বইনেরে তো দেহেই না, উলটা আমগো বাড়িত আইয়া ট্যাকা লইয়া যায় মার থোন। আর আকাইম্মা বড় ভাই একখান আছে, হেও মস্তানি কইরা অহন জেলের ভাত খাইতাছে। ভালাই অইছে, একজনের পেট তো কমছে!
- তাহলে তোমাকেই পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়! 
- হ! শইলডা অনেক কাম দিছে অভাবের সময়।
- মানে?

- ছোড বেলা থেইকাই কেমুন জানি মাইয়া মাইয়া আছিলাম। বয়স তহন কতো হইবো? বারো কি তেরো! আফার সুনু, পাউডার আর লিপিস্টিক লাগাইতাম চুরি কইরা। কাজল দিতে খুব ভালা লাগতো। মায় আর আফায় খুব বকতো, কিন্তু আমি তাও চুরি কইরা লাগাইতাম এইগুলান। লুকায়া লুকায়া একদিন শাড়িও পরছিলাম। হাইরে মাইর খাইছি হেই দিন! অহনো মনে আছে। বাড়িত থোন পলায়া গেছিলাম। আমগো বাড়ির পাশেই আছিল আত্রাই নদী। নদীর পারে বইয়া অনেক কানছি। সেই সময় নদীর পাশ দিয়া যাইতেছিল পাশের বাড়ির আক্কাছ ভাই। আমারে কানতে দেইখা পাশে বইয়া খুব আদর করলো। জিগাইলো আমি কান্দি ক্যা। কইলাম মায়ে মারছে আফার লিপিস্টিক দিছি দেইখা। আক্কাছ ভাই কইলো লিপিস্টিক দিলে নাকি আমারে খুব সুন্দার দেখা যায়। কইলো আমারে একখান লিপিস্টিক কিন্যা দিবো। এরপর আমারে কইলো হেগো বাড়িত যাইতে। আমিও গেলাম। হেগো বাড়িত কেউ আছিল না। বাড়িত যাইয়াই আক্কাছ ভাই আমারে খুব আদর করতে লাগলো হের রুমে নিয়া। হের লুঙ্গিডা খুইল্যা ফালাইলো গার থোন। আমার লুঙ্গিও খুইলা দিল। আমি কিছু বুঝতাছিলাম না। আক্কাছ ভাই আমার সারা গায়ে অনেক আদর দিল। আমার খুব ভালা লাগতেছিল। এরপর সরিষার তেলের বোতল নিল টেবিলের উপরের থেইকা। হের ধোনের মধ্যে লাগাইলো আচ্ছা মতোন। হেরপর আমার দুই ঠ্যাং হের দুই কাঁধে তুইলা আমার পাছার ফুটার মধ্যে হের ধোন...
- আউয়াল হয়েছে, থাক আর বলতে হবে না।
- হেইদিন খুব রক্ত বাইর হইছিল। কানতে কানতে বাড়িত আইছিলাম। মা আর আফায় মনে করছে আমি হেগো মাইরের কারনে কান্তাছি, তাই কিছু জিগায় নাই কেন কান্দি, আমিও আর কইতে পারি নাই শরমে। সারা শরিল বিষ করলো। রাইতে জ্বর আয়া পড়লো আমার। মা কবিরাজ ডাকলো। কবিরাজ আয়া জ্বরের অসুদ দিয়া গেলো। এক সপ্তা পর সুস্থ হইলাম। 
- তোমার মাকে বলা উচিত ছিল আউয়াল।
- কই নাই আরেক কারনে।
- কি কারন?

- আমার কাছে আক্কাছ ভাইরে ম্নে ধরছিল। হে আমার লগে যা যা করছে আমার খুব ভালা লাগছে। মায়েরে কইয়া আক্কাছ ভাইয়ের আদর থেইকা বঞ্চিত হইতে চাই নাই।
- হুম। বুঝলাম।
- আক্কাছ ভাই আমার মাই দুইডা খুব সুন্দর কইরা চুষত আর টিপত। আমার খুব মজা লাগতো জানেন? পরথম দিন ব্যাথা পাইছি, কিন্তু হের পর থেইকা অনেক সুখ পাইছি
কয়দিন পর দেহি আমার বুক হইতাছে মাইয়াগো লাহান। পরথমে ভাবছিলাম আক্কাছ ভাইয়ের টিপ খাইয়া অইতাছে, কিন্তু পরে দেহি দুধের বোটাও আইতাছে মাইয়াগো বুকের লাহান। আমার গলাও দেহি কেমুন যেন ভাঙ্গা ভাঙ্গা হইয়া গেলো।
- তারপর?
- মায়ে বুঝলো হের ঘরে দুই পোলা আর এক মাইয়া না; এক পোলা, এক মাইয়া আর এক না পোলা না মাইয়া জন্মাইছে। 
- মানে?
- মানে মায়ে বুঝলো যে আমি হিজড়া।
- তুমি হিজড়া?
- হ! দেহেন না গলায় গামছা ঝুলায়া রাহি! কিন্তু অন্য হিজড়াগো মতন সাজগোজ করতে অহন আর ভাল্লাগে না। আর হিজড়াগো চাইতে পোলাগো দাম এই পার্কে বেশি। তাই পোলা সাইজা থাকলেই পয়সা বেশি পাওন যায়।
- হুম, বুঝলাম। আউয়াল এই টাকা কয়টা রাখো। আজ উঠতে হবে।
আউয়ালের হাতে দুইশ টাকা দিয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে এলাম। মাথাটা ভনভন করছে। কি শুনলাম এসব এতক্ষণ! 

আউয়ালের প্রতি একটা মায়া আগে থেকেই ছিল, কিন্তু মায়াটা সেদিনের পর থেকে আরো বেড়ে গেলো। সপ্তাহে একদিন হলেও যেতাম রমনায়, আর কিছু টাকা দিয়ে আসতাম ওর হাতে। এর মাঝে ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করতাম অনেকের সাথে। দেখা করতে চাইতো অনেকে। আমিও যে চাইতাম না, তা নয়। কিন্তু এবার আর ভুল করলাম না। অন্যদের বাসায় গেলাম না আগেরবারের মতো। বাসায় কেউ না থাকলে নিজের বাসায় দেখা করতে চাইতাম। কেউ রাজি হলো না। একদিন চ্যাট করছি একসাথে পাঁচ জনের সাথে। সবাইকেই বললাম যে আমার বাসা খালি। জানতাম না করবে, কিন্তু প্রথমে একজন রাজি হলো। আমি তো অবাক! এরপর দেখি আরো একজন, তারপর আরো একজন রাজি হলো বাসায় আসতে। আমি বুঝতে পারলাম না কি বলবো। তিনজনকেই বললাম বাসার কাছাকাছি এসে ফোন দিতে। ধরে নিয়েছিলাম যে কেউই হয়তো আসবে না, আর আসলেও হয়তো একজনই না হয় আসবে! কিন্তু তিনজনই আসলো। আমি পড়লাম বিপদে। কুল রাখি না শাম রাখি অবস্থা। যাইহোক তিনজনকেই একে একে বাসায় নিয়ে আসলাম। শরীফ, ফাহাদ আর চয়ন। আমাকে যে নাম বলেছিল তাই বললাম। তিনজনকে বাসায় নিয়ে এসে একসাথে বসলাম। বললাম, “আমাদের চারজনের উদ্দেশ্যই যেহেতু এক, আমরা কি একসাথে কাজটা করতে পারি?” আমার মাথা তখন পুরাই নতুন এক নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। একসাথে চারজন কিভাবে কি করে দেখতে হবে। এই সুযোগ তো আর সব সময় পাব
ও না! ফাহাদ আর চয়ন একটু ভেবে রাজি হলো। কিন্তু শরীফ বলল, সে কিছুতেই রাজি নয়। সে চলে যাবে। আমি শরীফকে বাসার দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে গেলাম। দরজার সামনে এসে হঠাত কি মনে করে শরীফ রাজি হয়ে গেলো। আমি তখন প্রচন্ড উত্তেজিত মনে মনে। চারজন মানুষের কামলীলা হবে আজ আমার বাসায়। 

শরীফকে নিয়ে রুমে ঢুকে দেখি চয়ন আর ফাহাদের চার হাত এক করা, সেই সাথে দুজনের দুই ঠোঁট। ওরা কাল বিলম্ব করতেও রাজি নয় দেখছি! আমি শরীফের চোখের দিকে তাকালাম, শরীফ আমার দিকে। বাসায় কেউ ছিল না, তাই দরজা লাগানোর দরকার হলো না। জড়িয়ে ধরলাম শরীফকে। শরীফও সাড়া দিল। ওদিকে চয়ন আর ফাহাদ ততোক্ষনে একে অপরের কাপড় খোলায় ব্যস্ত। আমি আর শরীফও দেরি করলাম না। খুলে ফেললাম একে অপরের প্যান্ট আর টি শার্ট। আমার রুমের খাটটা নেহায়েত ছোট ছিল না। চারজন মানুষ অনায়াসেই শোয়া যায়। শরীফকে নিয়ে বিছানায় চলে গেলাম। চারটি উলঙ্গ দেহ ধীরে ধীরে মেতে উঠলো আদিম উন্মত্ততায়। শরীফকে শান্ত করলাম তাড়াতাড়িই। সে তখন নিথর হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। ওদিকে ফাহাদ আর চয়ন যে খুব পারদর্শী সেটা বুঝতে পারলাম। ফাহাদকে নিচে শুইয়ে চয়ন তার বিশেষ অঙ্গের উপর চড়ে বসেছে। ব্যাপারটা খুব আকর্ষণীয় মনে হলো আমার কাছে। আমি হা করে তাকিয়ে চয়নের কান্ডকীর্তি দেখছিলাম। শরীরটায় আগুন তো ধরেই ছিল, কিন্তু সে আগুন শরীফের পক্ষে মেটানো সম্ভব হয়নি। তাই খুব আফসোস হতে লাগলো। ইশ! আমি যদি চয়নকে পেতাম! চয়ন হয়তও বুঝতে পারলো আমার মনের কথা। বসা অবস্থায়ই আমার বিশেষ অঙ্গে হাত দিয়ে টেনে আমাকে ওর কাছে নিয়ে গেলো। আমি তখন আর আমার মাঝে নেই। বলা বাহুল্য তিনজনের মধ্যে চয়নের শারীরিক গঠনই ছিল সবচেয়ে নজর কাড়া। পাতলা, লম্বা, আর ছিমছাম গড়নের ফরসা একটা লোমহীন শরীর। আমি কাছে যেতেই চয়ন আমার বিশেষ অঙ্গটা মুখে পুরে নিলো। আমি আবেগের আবেশে চোখ দুটি বন্ধ করে ফেললাম। নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো “আহ!” চয়ন বুঝতে পারলো সে আমাকে ঠিকভাবেই কাবু করতে পারছে। তাই মুখের কারুকাজ দেখাতে মোটেই কুন্ঠাবোধ করলো না সে। 



ওদিকে ফাহাদ নিচে শুয়ে শুয়ে মজা লুটছিল। হঠাত আমাকে এভাবে শব্দ করতে দেখে সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না, আমাকে সরিয়ে দিয়ে চয়নকে জোর করে কাছে টেনে এনে কাম রসে ভিজিয়ে দিল নিজেকে আর চয়নকে। চয়ন কিছুক্ষণ লেপ্টে থাকলো ফাহাদের শরীরের সাথে। শরীফ আর ফাহাদ গেলো ওয়াশরুমে নিজেদের পরিষ্কার করতে। চয়ন বিছানা থেকে উঠে এসে আমার গায়ে হাত রাখলো, বুঝতে পারলাম ফাহাদকে দিয়ে তার কার্যসিদ্ধি হয়নি। আমার সাহায্য দরকার। আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। চয়নকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে অকে এলোপাথাড়ি চুমু খেতে লাগলাম। চয়ন পাগলের মতো আহ্‌ উহ্‌ শব্দ করে আমাকে উৎসাহ দিতে লাগলো পুর্নোদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এগিয়ে গেলাম চয়নের দিকে চয়নের দুই পা আমার কাঁধে তুলে নিয়ে ওর বুকের উপর শুয়ে পরলাম সন্তর্পনে, নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়ে ওকে আদর করতে লাগলাম প্রচন্ড উত্তেজনায়। কখন যে দুজন একে অপরের মাঝে মিশে গিয়েছিলাম বুঝতেই পারলাম না। মিনিট পাঁচেক পর হঠাত চয়ন আমাকে জড়িয়ে ধরলো খুব শক্ত করে। পেটের উপর ভেজা ভেজা লাগলো, আমিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। চয়নের সাথে সাথে আমিও ছেড়ে দিলাম নিজের কামরস, চয়নের দেহ অভ্যন্তরে। চয়নের মুখে পরিতৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো। আমিও হাসলাম। শুধু চয়নকে পরিতৃপ্ত করতে পেরেছি বলে নয়, নিজেও পরিতৃপ্ত হয়েছি দেখে। 

এরপর আমাদের চারজনের মাঝে আরো অনেকবার অনেক কিছু হলো। কিন্তু কেন যেন আমি চয়নকে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম না। একদিন বুঝাতেও চাইলাম, পারলাম না। দেখলাম একা আন্তরিকভাবে কিছু করার চেয়ে সবার সাথে খোলামেলাভাবে সব কিছু করার দিকেই ওর আগ্রহ। তাই আর বাধ সাধলাম না। 
কয়েকমাস এভাবেই চলল। আমি কেমন যেন অতিষ্ট হয়ে উঠলাম দেশে থেকে। সিদ্ধান্ত নিলাম ইন্ডিয়া যাওয়ার। শুরু হলো আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায়।

রিলেটেড পোস্ট :



0 comments:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

 
^ মাথায় ওঠ